কে এফ সির খাবার কেন এত সুস্বাদু? তার পেছনের রেসিপিটা হয়ত আমরা জানি না কিন্তু বিজ্ঞান এর কিছু উত্তর দেবার চেষ্টা করেছে। স্টিভ উইদারলি ২০০৭ সালে তার প্রকাশিত ‘Why Humans Like Junk Food’ নামক বইটিতে কে এফ সির খাবার এত সুস্বাদু হবার পেছনের কয়েকটি কারণ বলেছেন।
আজ আপনাদের তিনটি কারণ দেয়া হল যে কারণে সবাই কে এফ সির খাবার এত পছন্দ করে।
বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের খাদ্যতালিকা ও তার পছন্দে নানা ধরণের পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনগুলির মাঝে ক্যালরির স্থান পাওয়াটা ছিল অবশ্যম্ভাবী।
ক্যালরি ঘনত্ব শুরু হয় ০ থেকে যাকে বলা হয় একেবারে পানি ও শেষ হয় ৯ এ গিয়ে। এই ৯ এ পাওয়া যায় পুরোটাই চর্বি বা ফ্যাট। যখন কাঁচা একটি মুরগীর টুকরো ক্যালরি ধারণ করে ১.৩৫, সেখানে কে এফ সির একটি চিকেন ব্রেস্ট ধারণ করে ২.৩। এছাড়াও অতিরিক্ত মচমচে স্বাদ এটাকে বাড়িয়ে তোলে ২.৯ পর্যন্ত।
আমরা বিবর্তিত হয়েছি এমন ভাবে যে লবণকে ভালো না বাসলে আমাদের চলেই না। পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ না পেলে আমাদের শরীর কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একটি অরিজিনাল কে এফ সি চিকেন ব্রেস্টে সোডিয়াম থাকে ১.১ গ্রাম, যা আমাদের শরীরের ৪৮% লবণের চাহিদা পুরণ করে থাকে।
আমাদের খাবারের ১.৮৫% ভাগ জুড়ে থাকে লবণ। উইদারলির মতে শুষ্ক খাবারে যে পরিমাণ লবণের প্রয়োজন তা এর মাঝে খুব ভালভাবেই রয়েছে।
কে এফ সির শেফরা সাদা ও কালো পিপার ব্যবহার করে। এদের মাঝে সাদা পিপারের পরিমাণ খুবই বেশি এবং কালো পিপারের মাঝে একটি শক্তিশালী উপাদান ব্যবহার করে যাকে বলা হয় পিপেরিন।
এই পিপেরিন আপনার মুখের স্বাদ বাড়াবে, মস্তিষ্কে সুখানুভূতির আলোড়ন তৈরি করবে এবং হজমে সাহায্য করবে।
তবে আর দেরি কেন? যদি চিকেন আপনার পছন্দ তাহলে তুলে নিন হাতে কে এফ সির সুস্বাদু চিকেন। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন অবশ্যই। বাজারে অনেক নকল খাবার পাওয়া যায় বিখ্যাত ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে। যাচাই বাছাই করে তবেই মুখে তুলুন আপনার পছন্দসই খাবার।