আসসালামালাইকুম ! সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি ভালোই আছেন । দেশের যা অবস্থা নিজের সুরক্ষা না করতে পারলেও পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির সুরক্ষা করতে । চলুন শুরু করা যাক আসল কথা
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বেশকিছু নতুন সুবিধা এনেছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। তবে এর বেশকিছু নিরাপত্তা সমস্যার কথাও বলা হয়ে থাকে। আর স্মার্টফোনের নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনায় সবসময়ই বলা হয়, ব্যবহারকারী চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখার দশ উপায় নিয়েই এবারের মেইনবোর্ড।
মোবাইল ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) বেশকিছু নতুন সুবিধা এনেছে। কিন্তু এই অপারেটিং সিস্টেমটির নিরাপত্তা সমস্যাও কম নয়। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকনিউজডেইলি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্যবহারকারী চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। হাতের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখার দশ উপায় নিয়েই এবারের মেইনবোর্ড।
আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি ক্ষমতা প্রায় একটি কম্পিউটারের সমান। কিন্তু এতেও রয়েছে বিভিন্ন দুর্বলতা। কম্পিউটারের মতো সহজেই স্মার্টফোনটি ভাইরাসের শিকার হতে পারে। এ জন্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা প্রয়োজন। ফলে অধিকাংশ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে স্মার্টফোনটি।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেন। এ কারণে বিভিন্ন স্মার্টফোন নিরাপত্তা সংস্থা কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে এর নির্মাতা ও প্রদানকারী সাইট সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
অনেক স্মার্টফোন টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস-এর মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত হয়। এমনও হতে পারে, আপনার স্মার্টফোনটিতে অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে যে, আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত। এ রকম মেসেজ খুললেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। তাই সচেতন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উচিত সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজ এলেই তা মুছে ফেলা।
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতা সম্পর্কে। আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি ‘পাইরেটেড’ কপি কি না তাও জেনে নিন। কারণ, এ রকম অ্যাপে থাকে স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। আর তাই সবসময় ব্যবহার করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন।
কিছুদিন পরপরই বের হচ্ছে আপডেটেড ওএস, যার মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে পারেন আপনার স্মার্টফোনটির নিরাপত্তা। আপডেটেড ওএস সবসময় চেষ্টা করে স্মার্টফোনটিকে আরও সুরক্ষিত রাখার ও বিভিন্ন নতুন সেবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। সুতরাং ব্যবহারকারীদের উচিত অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন বের হলেই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে নেওয়া।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাটি ব্যবহার করে সহজেই সংরক্ষণ করা যায় প্রয়োজনীয় তথ্য। তবে সেবাটি আরও সতর্কভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ক্লাউড স্টোরেজ সেবাটির সঙ্গে একাধিক ফিচার ব্যবহার না করে পর্যাপ্ত ফাইল শেয়ার করার পরামর্শ দেন তারা।
যে কোনো সময় নষ্ট, চুরি অথবা হারিয়ে যেতে পারে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। সে ক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে আপনার মূল্যবান ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাবার এবং অন্য কারও হাতে চলে যাওয়ার। এ ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করুন ব্যাকআপ। ফলে ফিরে পাবেন আপনার দরকারি তথ্যগুলো। আর যদি আপনার ফোনটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়, তাহলে ‘রিমোট-ওয়াইপ ফিচার’ ব্যবহার করে মুছে ফেলা যাবে ব্যক্তিগত তথ্য। এতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। সুতরাং ব্যবহার করুন ফিচারটি এবং নিরাপদ রাখুন আপনার ফোন।
স্মার্টফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন না করার পরামর্শই দিয়েছেন। এতে করে ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক ডেটা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তারা জানিয়েছেন, ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজ হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এনক্রিপশন বলতে বুঝায় ডেটাকে গোপন কোডে পরিণত করা। এনক্রিপশন ব্যবহার করে মেশিন চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনক্রিপশন ব্যবহার করে ডেটার নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব হয়। এনক্রিপটেড ডেটাতে প্রবেশ করতে পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সুবিধাটির জন্য সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অপশন সিলেক্ট করে এনক্রিপ্ট চালু করতে পারবেন ব্যবহারকারী।
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন পাসকোড অথবা প্যাটার্ন লক। আপনার পাসকোড যদি সংখ্যামূলক হয়, তবে কোডটিকে চার ডিজিটের বেশি রাখুন। আকারে বড় এবং জটিল পাসকোড ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। পাসকোড বা প্যাটার্ন লকের মাধ্যমে নিরাপদ রাখুন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি।