অভিযাত্রীককে কি ভুলে গিয়েছেন পাঠক? সে কিন্তু তার যাত্রা ঠিকই বজায় রেখেছে। রোদ বৃষ্টি ঝড় নানা প্রতিকূলতা- সবকিছুকে সে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এগিয়ে চলছে আস্তে আস্তে অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। তার চোখ একই সাথে বর্তমান ও অতীতের দিকে রয়েছে। ইতিহাসের পাতা থেকে সে তুলে আনছে নানা রহস্য, নানা গৌরবময় গাঁথা।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের অভিযাত্রীকের ডায়েরী সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব দেয়া হল। আজকের পর্বে থাকছেঃ গ্রেট জিম্বাবুয়ে, হাতরা ও সাঁচি।
গ্রেট জিম্বাবুয়েঃ
বর্তমানের জিম্বাবুয়ের বিস্তৃত অঞ্চল নিয়েই ছিল দ্য গ্রেট জিম্বাবুয়ে। এর আশেপাশে রয়েছে কিছু পাথরের ধ্বংসস্তূপ। এর নামানুসারেই আজকের জিম্বাবুয়ের নামকরণ করা হয়েছে। “গ্রেট” শব্দটির সাহায্যে বোঝানো হয়েছিল এরকম শত শত ধ্বংসস্তূপের সম্মিলন, যা একত্রে গঠিত করেছিল জিম্বাবুয়েকে।
স্থানীয় বান্টু গোত্রের লোকেরা ১১ শতকে এটি তৈরির কাজ শুরু করে এবং শেষ করতে প্রায় ৩০০ বছর সময় লাগে। এর সুউচ্চ স্থানে প্রায় ১৮,০০০ অধিবাসীর বসবাস ছিল। রাজনৈতিক কলহ, সম্পদের অপ্রাপ্তি, বাণিজ্যের অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানা কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
হাতরাঃ
দূর্গসদৃশ হাতরা শহরটি ছিল পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের অধীনে এবং আরব রাজ্যের প্রথম রাজধানী ছিল এটি। রোমানদের মুহুর্মুহু আক্রমণের ফলেও এটি অটুট ছিল কারণ এর দেয়ালগুলো ছিল খুবই মোটা এবং দূর্গগুলো শহরটিকে বেষ্টন করে রেখেছিল খুব ভালোভাবে। ইরানিয়ান সাশানিদ রাজ্যের শাপুর ১ এর মাধ্যমে এই শহরটি অবশেষে ধ্বসে যায়। হাতরার ধ্বংসাবশেষ বর্তমান ইরাকে অবস্থিত এবং এতে বেশ কিছু হেলেনিস্টিক ও রোমান সাম্রাজ্যের আর্টিফ্যাক্ট রয়েছে।
সাঁচিঃ
সাঁচি শহরে এমন একটি দালান রয়েছে যার সাথে হাজারো বছরের ইতিহাস জড়িত। তৃতীয় শতকের কিছু স্তূপ এখানে রয়েছে এবং শেষ হয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও জ্ঞানচর্চার স্থানের মাধ্যমে। ধ্বংসস্তূপে পাওয়া এই শহরের উপাদানগুলো তৈরি হয়েছিল ১০ম ও ১১তম শতকে। ভারতে বৌদ্ধ মতবাদ হ্রাস পাবার ফলে সাঁচি শহরটিকে পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করা হয়। ১৮১৮ সালে এক ব্রিটিশ অফিসার এই শহরটিকে পুনরুদ্ধার করেন।
আজ আর নয়। প্রিয়লেখার সাথেই থাকুন, সকলের প্রিয় হয়ে থাকুন।