বিশ্বজুড়ে অনেক নারী সক্রিয় ছিলেন রাজনীতির মাঠে। কেউ নিজেই ছিলেন বা আছেন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হিসেবে। আবার অনেকে আলোচনায় ছিলেন বা রয়েছেন স্বামীর সূত্র ধরে। এখানে কয়েকজন ফার্স্ট লেডির কথা তুলে ধরা হলো, যারা আলোচনায় আসতে পেরেছেন নিজ দেশ ও বহিরাঙ্গনে।
মিশেল ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট৷ হার্ভার্ড ল স্কুলেও তিনি পড়াশোনা করেছেন৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সরকারি অনেক সফরে তিনি গেছেন৷ পোশাক নির্বাচন ও ভদ্র ব্যবহারের কারণে তাকে অনেকেই পছন্দ করেন৷
হিলারি ক্লিনটন
হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রসচিব। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য এবং নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার সিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। হিলারি ক্লিনটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের স্ত্রী। রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে হিলারি আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এবার জিতলে দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতেন তিনি৷
জর্ডানের রানিয়া
চার সন্তানের জননী রানিয়া ১৯৯৯ সাল থেকে জর্ডানের রানি৷ নিজ দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে তিনি কাজ করছেন৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও তাকে সোচ্চার হতে দেখা গেছে৷ তার অবদানের জন্য গত সেপ্টেম্বরে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কাছ থেকে একটি পুরস্কার গ্রহণ করেন৷
কার্লা ব্রুনি সার্কোজি
নিজে ইটালির মেয়ে৷ ছিলেন গায়িকা, মডেল৷ পরে ২০০৮ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজিকে বিয়ে করে হয়ে যান ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি৷ স্টাইল আইকন হিসাবে এখনও তিনি সক্রিয়৷
ইমেলদা মার্কোস
সাবেক সুন্দরী ইমেলদা তার ভোগ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন৷ ফিলিপাইনের দশম প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোসের স্ত্রী ছিলেন তিনি৷ রেকর্ড পরিমাণ জুতার সংগ্রহের কারণে ইমেলদা মার্কোস বিশ্বে পরিচিত ছিলেন৷
সোরাইয়া এসফানডিয়ারি-বখতিয়ারি
ইরানের শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সোরাইয়া৷ ১৯৫১ সালে ১৯ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়৷ তবে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা না থাকায় মাত্র সাত বছর পর তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছিল৷ জার্মান ও ফরাসি ভাষায় পারদর্শী সোরাইয়া ঘোড়ায় চড়া ও স্কিয়িং করতে পছন্দ করতেন৷ ১৯৪১ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইরানের ক্ষমতায় ছিলেন পাহলভি৷
গ্রেস কেলি
ছিলেন হলিউডের সফল অভিনেত্রী৷ পরে ১৯৫৬ সালে হয়ে যান মোনাকোর প্রিন্সেস৷ তবে তার দাম্পত্য জীবন কখনও সুখের ছিল না বলে শোনা যায়৷ সে এমনও বলেছিলেন, বিয়ের দিনটি ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন৷ ১৯৮২ সালে ৫২ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কেলি৷
জ্যাকুলিন কেনেডি
বলা হয়, হোয়াইট হাউসে বাস করা সবচেয়ে আবেদনময়ী দম্পতি ছিলেন জ্যাকুলিন ও তার স্বামী প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি৷ ১৯২৯ সালে নিউ ইয়র্কের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম নেয়া জ্যাকুলিন ১৯৫৩ সালে কেনেডিকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৪ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্যাশন সচেতনতার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি৷
ইনখোসিকাতি লামবিকিজা
তিনি সোয়াজিল্যান্ডের রাজার ১৩ স্ত্রীর একজন৷ তবে বেশিরভাগ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রাজার পাশে তাকেই দেখা যায়৷ এইডসের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচিতে তিনি যুক্ত আছেন৷
মেলানিয়া ট্রাম্প: নতুন ফার্স্ট লেডি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় তার স্ত্রী এখন মেলানিয়া ট্রাম্প এখন ফার্স্ট লেডি৷ স্লোভেনিয়ায় জন্ম নেয়া মেলানিয়া, ট্রাম্প প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত ইন্সটাগ্রামে বেশ সক্রিয় ছিলেন৷