সারাদিন আমাদের বিভিন্ন কাজে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। পারিবারিক, অফিসিয়াল কিংবা নিজের নানা রকমের দুঃশ্চিন্তা আমাদের থেকেই থাকে। কাজের চাপের পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা।সেসব সমস্যা থেকে সৃষ্টি হতে পারে মানসিক বিভিন্ন সমস্যা। আর সেই সব মানসিক সমস্যা আপনার শরীর ও মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং ব্যাঘাত ঘটায় আপনার দৈনন্দিন কাজে । পারিবারিক সম্পর্কগুলোতে ফাটল ধরে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি যার প্রভাব পড়ে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে।
মানসিক চাপ যেন আপনার মানসিক অসুস্থতায় পরিনত না হয় সে বিষয়ে আপনার নিজেকে নিজের প্রতি সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। নিজেকে সময় দিলে হয়ত আজ আপনার মানসিক চাপ মানসিক বিষন্নতায় পরিনত হবে না।
আসুন জেনে নেই কিভাবে নিজেকে সময় দিয়ে মানসিক চাপকে কমানো যায়-
শারীরিক ব্যায়াম
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় করে কিছুক্ষন ব্যায়াম করা উচিত কেননা শারীরিক পরিশ্রম করা হলে মানসিক চাপ কমানোর হরমোন নিঃসরন করে এবং এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরন করে বলে মানসিক চাপ কমে যায়।নিয়ম করে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন এবং এমনভাবে হাঁটুন যেন শরীর থেকে ঘাম ঝরে। যা আপনার শরীরকে রাখবে সতেজ আর কমিয়ে দিবে মানসিক চাপ।
ঘুম
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন নূন্যতম ৬ ঘন্টা ঘুমাতে হবে । ৬ ঘন্টার কম ঘুম হতে পারে আপনার অকাল মৃত্যুর কারন। এমনকি ডেকে আনতে পারে ডায়াবেটিস , উচ্চরক্তচাপ কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি । ঘুম আপনার শরীরকে প্রশান্তি এনে দেয় এবং বাড়িয়ে দেয় আপনার কাজ করার গতি ।
ভালো লাগার কাজ করুন
আপনার পছন্দের কাজগুলোকে প্রাধান্য দেন । যদি ঘুরতে পছন্দ করেন তাহলে শত কাজের ফাঁকে নিজের জন্য আলাদা সময় রাখুন । পছন্দের মানুষের সাথে পছন্দের জায়গায় গিয়ে কিছুটা সময় পার করলে আপনার মানসিক চাপটা কমবে আর কাজে পাবেন নতুন উদ্দম ।
নেতিবাচক চিন্তা দূর করুন
আপনার কাজ নিয়ে কেউ নেতিবাচক কিছু বললে সেটা উপেক্ষা করার চেষ্টা করবেন । সব কিছুকে পজিটিভ ভাবে নিতে চেষ্টা করবেন ।আপনি আপনার নিজের কাছে ঠিক আছেন তাহলে অন্যের কথায় কান দেবেন না ।
অবসরে বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন
আপনার শত ব্যস্ততার পরে আপনার নিজের জন্য বরাদ্দ সময়টুকুতে নিজেকে বিনোদনে রাখার চেষ্টা করুন । অবসর সময়ে ভালো একটি মুভি দেখেন , বই পড়েন অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন । অবসরটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন ।
আপনার মানসিক চাপগুলো যেন আপনার ব্যাক্তিগত জীবনে কোন প্রভাব ফেলতে না সেই বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত । সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হল নিজেকে বুঝুন , নিজেকে সময় দিন । আপনি নিজে নিজেকে যতটা মোটিভেট করতে পারবেন তা অন্য কেউ পারবে না ।
সবার আগে নিজেকে বুঝুন তাহলে সুস্থ থাকবেন আপনি আর আপনার সুস্থতাই সকলের কাম্য।
.